প্রকাশিত: ০৩/০৩/২০১৭ ১০:২৬ এএম

ফাল্গুন মানেই দিনের বেলা প্রখর রোদ, আর রাতে মৃদু দক্ষিণা বাতাস। এই সময়টাই হলো অবাঞ্ছিত অতিথিদের আগমনের একেবারে মোক্ষম সময়। শুধু সন্ধ্যে নামলেই হল, দরজা জানালা খোলা থাকলেই সৈনিকের মতো ঘরে ঢুকে তারা। তারপর সুযোগ বুঝে হুল ফোটানো। এর মধ্য দিয়েই তারা নিপুণ কায়দায় শরীরে ঢুকিয়ে দিচ্ছে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া প্রভৃতি মারাত্মক সব রোগ। শেষমেষ মশার হাত থেকে রেহাই পেতে কয়েল জ্বালাচ্ছেন। তাতেও শেষ রক্ষা হয়না। বারোটা বাজছে ফুসফুস ও হার্টের। ফলে পরিবারের সকল সদস্যের মৃত্যু ডেকে আনছেন আপনিই।

সম্প্রতি গবেষকরা বলেছেন, মশা মারতে আপনি তো আর বাড়িতে কামান দাগতে পারেন না। অগত্যা মশা মারার কয়েল। সেই কয়েল ব্যবহার করে মশা মারতে গিয়ে ডেকে আনছেন নিজের মৃত্যু।

তারা বলেন, কয়েল ব্যবহারে শ্বাসকষ্ট, কাশি ও ফুসফুসের সমস্যা দেখা দেয়। এটি ফুসফুসের ক্যান্সারের সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। আবার কয়েলের সূক্ষ্ম গুঁড়ো শ্বাসনালি এবং ফুসফুসের পথে গিয়ে জমা হয়। এতে করে বিষাক্ত সংক্রমণ হয়। আবার দীর্ঘদিন ব্যবহারে চোখের ভয়ানক ক্ষতি হয়। মানুষের শরীরে স্লো পয়জনিং করে। হার্টের সমস্যা দেখা দেয়।

প্রায় সমস্ত মশার কয়েলেই থাকে অ্যালেট্রিন। এটি মস্তিষ্ক ও রক্তের ভেদ্যতা বাড়িয়ে দেয়। কয়েলের ধোঁয়া শিশুদের জন্য আরও বেশি বিপজ্জনক, দাবি বিশেষজ্ঞদের।

এছাড়া মশার কয়েলে আরও নানা বিপদ হতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এর ফলে ডেঙ্গু, প্রচণ্ড জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, মাংসপেশিতে ও হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা, র‍্যাশ, বমি বমি ভাব, ম্যালেরিয়া প্রভৃতি হতে পারে।

# এনসেফেলাইটিস সংক্রমণের পর রোগটি কেন্দ্রীয় নার্ভাস সিস্টেমে ঢুকে পড়ে। মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ডে বাসা বাঁধে। মৃত্যু হতে পারে।

# চিকুনগুনিয়া। এডিস ইজিপটাই মশার আক্রমণে এই রোগটি হয়। মাথাব্যথা, জ্বর, উদ্যমহীনতা, বমিভাব, মাংসপেশিতে ব্যথা ও অস্থিসন্ধিতে ব্যথা।

# লিমফেটিক ফাইলেরিয়াসিস। মারাত্মক ইনফেকশন। মানুষের পা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকগুণ ভারি হয়ে যায়।

তাহলে উপায়? এক্ষেত্রে মশা তাড়াতে কিছু ঘরোয়া টোটকার কথা বলেছেন গবেষকরা। তারা বলেছেন, মশারি টাঙানোর অভ্যাস থাকলে ভালো। নতুবা মশা তাড়ানোর ঘরোয়া টোটকাগুলিই আপনাকে বিপদের হাত থেকে বাঁচাবে।

কর্পুর

পরিষ্কার সাদা একটু ধুতির কাপড়ে একটু কর্পুর নিয়ে শক্ত করে বাঁধুন। এবার একটা ছড়ানো থালায় পানি নিয়ে ওই পুটলিটা ডুবিয়ে দিন যাতে কর্পুর একটুখানি জলে ডুবে থাকে। ঘরের চার কোণে এমন চারটে থালা রেখে দিন। দেখবেন মশা পালিয়ে যাবে।

নিমপাতা

মশা তাড়াতে নিম পাতাও জুড়ি মেলা ভার। এক্ষেত্রে পাতলা সাদা ধুতির কাপড়ে কিছু শুকনো নিমপাতা নিয়ে এর মাঝখানে একটা শুকনো মরিচ মাঝখান থেকে ভেঙে রেখে দিন। এবার খোসা ছাড়ানো ২-৩ কোয়া রসুন বেঁটে নিন। এবার সবগুলো একসঙ্গে পুটুলি করে ঘরের চারকোণে চারটি পুটুলি ঝুলিয়ে দিন। দেখবেন মশা উধাও।

পাঠকের মতামত

উখিয়ায় জামায়াতের সহযোগী সম্মেলনে জেলা আমীর আনোয়ারী সন্ত্রাসমুক্ত শান্তির বাংলাদেশ গড়তে ইসলামের বিকল্প নেই

গত ৫ আগস্টের বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, সেই নতুন বাংলাদেশের মানুষ নতুন ...

পর্যটকে মুখরিত ইনানী সৈকত

একদিকে পর্যটন মৌসুম, অন্যদিকে মহান বিজয়ের মাস। তাই পর্যটক বেড়েছে কক্সবাজার, ইনানী ও পাটোয়ারটেক সৈকতে। ...

কক্সবাজারে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২৪ উপলক্ষে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বক্তারা কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর তাগিদ

নারী সহায়ক কর্মপরিবেশ তৈরি করে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এর পাশাপাশি বৈষম্যহীন ...